মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা জেলার মহম্মদপুরে এক স্কুলছাত্রীর ‘অশ্লীল’ ছবি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবির অভিযোগে কামাল হোসেন মিলন (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।


মিলন ওরফে কামাল হোসেন মহম্মদপুর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মহম্মদপুর থানায় পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, আসামি মিলন এক সময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলো। কিন্তু ২০১৪ সালে চাকুরিচ্যুত হয়ে সে এলাকায় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে এরকম অনেক অভিযোগ আছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি মিলন ওরফে কামাল হোসেন তার পাশের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সম্পর্কের জেরে সে মেয়েটির মোবাইল ফোন থেকে তার ব্যক্তিগত কিছু ছবি কৌশলে নিজের মোবাইল ফোনে নিয়ে নেয়।

পরে ওইসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে মেয়েটির পরিবারকে ভয় ভীতি দেখায়। গত ৬ এপ্রিল মিলন তার এক সঙ্গীকে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার চাচার কাছে একই রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় অন্তত ২ লক্ষ টাকা দুইদিনের মধ্যে পরিশোধের হুমকি দিয়ে আসে। এ অবস্থায় মেয়েটির পরিবার প্রতিবেশিদের কাছে বিষয়টি জানালে তারা ৭ এপ্রিল বিকালে মহম্মদপুরের কালিশঙ্করপুর বাজারে ছেলেটিকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

এদিকে খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ, মিলন ওরফে কামালকে মোবাইলসহ আটক করে। যেখানে মেয়েটির কিছু ছবি পাওয়া যায়। এই ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে মেয়েটির মা বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মহম্মদপুর থানায় পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব তারক বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মিলন ওরফে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে প্রেমের সম্পর্কসহ নানা কৌশলে নারীদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় ও প্রতারনা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।